ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশে হিন্দু সম্প্রদায়ের যোগদান দুই কিশোরকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন নিক্সন চৌধুরীর ক্যাশিয়ার ও আ.লীগ নেতা রমজান শিকদার ধরাছোয়ার বাইরে পাট অধিদপ্তর উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহমেদের বাবা কে? বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন ভাঙ্গায় বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন ময়মনসিংহের সংরক্ষিত কাউন্সিলর রোকসানা পারভীন কাজলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বৈশ্বিক হরতালের সমর্থনে ফরিদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে বিনামূল্যে ধানবীজ, পাটবীজ ও সার বিতরণ ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউনের প্রতিবেদন মিথ্যা প্রচারণার অংশ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য ট্রিবিউন ‘আইএসআই ও বাংলাদেশি অপারেটিভরা আসাম সীমান্তের কাছে উলফা ক্যাম্প সক্রিয় করতে একত্রিত হচ্ছে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ ভুয়া বলে দাবি করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একইসঙ্গে প্রেস উইং দাবি করে এটিও মিথ্যা প্রচারণার অংশ।

নয়াদিল্লি ভিত্তিক দ্য ট্রিবিউন তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়, আইএসআই ও বাংলাদেশি অপারেটিভরা উলফা ক্যাম্প পুনরায় সক্রিয় করতে একসঙ্গে কাজ করছে।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস জানায়, বাংলাদেশের জনগণ যেদিন দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়নকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেদিন থেকে এ ধরনের ভুয়া সংবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এ ধরনের প্রতিবেদনে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় না এবং কোনো বিশ্বস্ত সূত্র এই কল্পকাহিনীকে সমর্থন করেনা’।

প্রকৃতপক্ষে, প্রতিবেদনে উল্লেখিত একমাত্র সূত্র আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, যিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া তার পূর্বের সামরিক কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করতে চান বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহ করছে যে বড়ুয়া শীঘ্রই মুক্তি পেতে পারেন’ বলে ট্রিবিউন দাবি করলেও, বাস্তবে তিনি আগেই মুক্ত এবং বর্তমানে চীনে বসবাস করছেন বলে ধারণা করা হয়।

এ ছাড়া দ্য ট্রিবিউন তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে তারা বাংলাদেশে ‘আরবি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় যোগাযোগের তথ্য আটকে দিয়েছে’।

প্রেস উইংয়ের মতে এই প্রতিবেদনটি পুরোপুরি কল্পকাহিনী এবং শুধুমাত্র ‘দ্য ট্রিবিউন’-এর সাংবাদিকদের কল্পনাতে রয়েছে, যা অন্য কোথাও সত্য বলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

প্রেস উইং জোর দিয়ে বলেছে যে এই প্রতিবেদনটি মিথ্যা প্রচারণার অংশ এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউনের প্রতিবেদন মিথ্যা প্রচারণার অংশ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য ট্রিবিউন ‘আইএসআই ও বাংলাদেশি অপারেটিভরা আসাম সীমান্তের কাছে উলফা ক্যাম্প সক্রিয় করতে একত্রিত হচ্ছে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ ভুয়া বলে দাবি করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একইসঙ্গে প্রেস উইং দাবি করে এটিও মিথ্যা প্রচারণার অংশ।

নয়াদিল্লি ভিত্তিক দ্য ট্রিবিউন তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়, আইএসআই ও বাংলাদেশি অপারেটিভরা উলফা ক্যাম্প পুনরায় সক্রিয় করতে একসঙ্গে কাজ করছে।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস জানায়, বাংলাদেশের জনগণ যেদিন দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়নকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেদিন থেকে এ ধরনের ভুয়া সংবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এ ধরনের প্রতিবেদনে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় না এবং কোনো বিশ্বস্ত সূত্র এই কল্পকাহিনীকে সমর্থন করেনা’।

প্রকৃতপক্ষে, প্রতিবেদনে উল্লেখিত একমাত্র সূত্র আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, যিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া তার পূর্বের সামরিক কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করতে চান বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহ করছে যে বড়ুয়া শীঘ্রই মুক্তি পেতে পারেন’ বলে ট্রিবিউন দাবি করলেও, বাস্তবে তিনি আগেই মুক্ত এবং বর্তমানে চীনে বসবাস করছেন বলে ধারণা করা হয়।

এ ছাড়া দ্য ট্রিবিউন তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে তারা বাংলাদেশে ‘আরবি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় যোগাযোগের তথ্য আটকে দিয়েছে’।

প্রেস উইংয়ের মতে এই প্রতিবেদনটি পুরোপুরি কল্পকাহিনী এবং শুধুমাত্র ‘দ্য ট্রিবিউন’-এর সাংবাদিকদের কল্পনাতে রয়েছে, যা অন্য কোথাও সত্য বলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

প্রেস উইং জোর দিয়ে বলেছে যে এই প্রতিবেদনটি মিথ্যা প্রচারণার অংশ এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য করা হয়েছে।