ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশে হিন্দু সম্প্রদায়ের যোগদান দুই কিশোরকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন নিক্সন চৌধুরীর ক্যাশিয়ার ও আ.লীগ নেতা রমজান শিকদার ধরাছোয়ার বাইরে পাট অধিদপ্তর উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহমেদের বাবা কে? বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন ভাঙ্গায় বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন ময়মনসিংহের সংরক্ষিত কাউন্সিলর রোকসানা পারভীন কাজলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বৈশ্বিক হরতালের সমর্থনে ফরিদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে বিনামূল্যে ধানবীজ, পাটবীজ ও সার বিতরণ ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে।

জাতিসংঘের এ দপ্তর তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়েছে যে ‘বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে বিশেষ পদক্ষেপ পুনঃপ্রবর্তনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন, যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়।’

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের জেনেভা অফিস থেকে ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওএইচসিএইচআর মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ ছাড়া দপ্তরটি শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে।

জাতিসংঘের এই মানবাধিকার দপ্তর নাগরিকদের ও অধিকারভোগীদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ও সরাসরি সম্পৃক্ত করার জন্য নাগরিক নেতৃত্বাধীন অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরামর্শমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

ওএইচসিএইচআর বাংলাদেশ সরকারকে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি একটি প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে ব্যাহত করতে পারে এবং বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ভোটারগোষ্ঠীকে কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

এ ছাড়া দপ্তরটি রাজনৈতিক ও জনজীবনে নারী-পুরুষের মধ্যে প্রকৃত সমতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সাময়িক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি যে রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনে এগোতে সম্মত হলে, নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

আলম আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যদি দলগুলো অতিরিক্ত সংস্কার কার্যকর করার পর নির্বাচন করতে চায়, সেক্ষেত্রে তিন মাস পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে।’

২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘মূলত এ নির্বাচনের তারিখ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্ধারণ করা যেতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে।

জাতিসংঘের এ দপ্তর তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়েছে যে ‘বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে বিশেষ পদক্ষেপ পুনঃপ্রবর্তনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন, যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়।’

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের জেনেভা অফিস থেকে ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওএইচসিএইচআর মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ ছাড়া দপ্তরটি শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে।

জাতিসংঘের এই মানবাধিকার দপ্তর নাগরিকদের ও অধিকারভোগীদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ও সরাসরি সম্পৃক্ত করার জন্য নাগরিক নেতৃত্বাধীন অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরামর্শমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

ওএইচসিএইচআর বাংলাদেশ সরকারকে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি একটি প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে ব্যাহত করতে পারে এবং বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ভোটারগোষ্ঠীকে কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

এ ছাড়া দপ্তরটি রাজনৈতিক ও জনজীবনে নারী-পুরুষের মধ্যে প্রকৃত সমতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সাময়িক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি যে রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনে এগোতে সম্মত হলে, নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

আলম আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যদি দলগুলো অতিরিক্ত সংস্কার কার্যকর করার পর নির্বাচন করতে চায়, সেক্ষেত্রে তিন মাস পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে।’

২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘মূলত এ নির্বাচনের তারিখ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্ধারণ করা যেতে পারে।’