মীর কাসেমপুত্র আরমান
দীর্ঘ ৮ বছর আমাকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়

- আপডেট সময় : ১১:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে

আয়না ঘর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম বারের মতো বাবার কবর জিয়ারত করার পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাশেম (ব্যারিস্টার আরমান) আয়নাঘরের নির্মমতা তুলে ধরে বলেন দীর্ঘ ৮ বছর আমাকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের চালা গ্রামে পৈত্তিক ভূমিতে আসেন। এরপর সাড়ে ১২ টার দিকে চালা আহমাদিয়া সুলতানিয়া সামসুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশে বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে জিয়ারত করেন।
কবর জিয়ারতের পর চালা আহমাদিয়া সুলতানিয়া সামসুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার পর তিনি বলেন, “আমার পিতার মামলায় আমি একজন নিয়োজিত আইনজীবী ছিলাম। ওই মামলার একদম শেষ পর্যায়ে যখন শুনানি চলছে । ফাঁসি কার্যকরের ঠিক ২৩ দিন আগে আমাকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ৮ বছর আমাকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়। ওই আট বছর আমি জানতে পারিনি আমার পিতার কি হয়েছে। আমার পরিবার জানতে পারেনি আমি কি বেঁচে আছি না মারা গেছি। ছাত্রদের বিপ্লবের পর আমাকে মুক্ত করা হয়।এর পর আমি জানতে পারি যে তাকে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসি দিয়েছেন। আমি আয়না ঘর থেকে বের হওয়ার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আমার দুই চোখে ছানি পড়ে গিয়েছিল। আমি দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। দেশে ফিরে আমি মানিকগঞ্জ আসি আমার পিতার কবর জিয়ারতের জন্য। মানিকগঞ্জ জেলা আমার পিতার অন্তরের জায়গা এখানে উনার নাড়ি পোতা আছে। মানিকগঞ্জ নিয়ে উনার অনেক পরিকল্পনা ছিলেন, এই মানিকগঞ্জকে একটি আধুনিক নগর হিসাবে তৈরি করার জন্য স্বপ্ন দেখতেন। উনি স্বপ্ন দেখতেন মানিকগঞ্জকে স্যাটেলাইট সিটি হিসেবে তৈরি করার জন্য। উনি স্বপ্ন দেখতেন মানিকগঞ্জ থেকে সে রাজধানীতে অফিস করবেন।
এসময় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর অঞ্চলের টিম সদস্য ও মানিকগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা নূরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা জাকিরুল ইসলাম খান, হরিরামপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা লোকমান হোসেন, সেক্রেটারী মো. ফারুক হোসেন, ডা.সাহেদুল রহমান শহীদ, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. টিপু সুলতানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।