সাটুরিয়ায় রাইজিং গ্রুপের কারখানায় ডাকাতি, গ্রেফতার ১২

- আপডেট সময় : ১১:১৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
- / ২০ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় রাইজিং গ্রুপের পপুলার প্যাকেজ অ্যান্ড এক্সেসোরিজ লিমিটেডে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সাটুরিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭ টায় মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোছাঃ ইয়াছমিন খাতুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মো. লাল চান (৪১), মো. রাসেল ওরফে আলামিন (২৬), মো. মোকাদ্দেছ (৬১), হৃদয় হাসান (১৯), মো. কাউছার (২৬), মো. জাহাঙ্গীর আলী (২৫), জাহিদ হাসান (৩৫), মো. আবু সাইদ (৫০), স্বপন মিয়া (২০), সাজেদুল শেখ (৩৫) ও লিয়াকত আলী (৫৪)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে কারখানার কর্মচারীরা খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটে ২০-২৫ জন মুখোশধারী ডাকাত নিরাপত্তা প্রাচীর টপকে ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে কারখানার কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং ফিনিশিং ফ্লোরে থাকা ডাইং পলিব্যাগ ও নগদ টাকা লুট করে একটি পিকআপে করে পালিয়ে যায়।রাত ৪টা ২০ মিনিটের দিকে এক কর্মচারী কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে ঢাকায় অবস্থানরত ফ্যাক্টরির ম্যানেজার মো. সাহেব আলীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরোও জানা যায়, প্রথমে পাবনার চাটমোহর থেকে আসামি শরীফকে গ্রেফতার করা হয়, যার কাছ থেকে লুণ্ঠিত দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি পিকআপ, তিনটি ছ্যান, দা, চাপাতি, চারটি কাটার, হ্যান্ড গ্লাভস, মুখোশ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে আসামি লিয়াকত আলী (৫৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মানোবেন্দ্র বালো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। শিগগিরই আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি।
অভিযানে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মানোবেন্দ্র বালো, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত)সহ একাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নেন।