ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশে হিন্দু সম্প্রদায়ের যোগদান দুই কিশোরকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন নিক্সন চৌধুরীর ক্যাশিয়ার ও আ.লীগ নেতা রমজান শিকদার ধরাছোয়ার বাইরে পাট অধিদপ্তর উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহমেদের বাবা কে? বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন ভাঙ্গায় বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন ময়মনসিংহের সংরক্ষিত কাউন্সিলর রোকসানা পারভীন কাজলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বৈশ্বিক হরতালের সমর্থনে ফরিদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে বিনামূল্যে ধানবীজ, পাটবীজ ও সার বিতরণ ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

যে দোয়ায় জীবনের সব প্রয়োজন পূরণ হয়

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।

কারো কাছে কোনো প্রয়োজন থাকলে তা পূরণে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন হয় তবে ওই ব্যক্তির উচিত হাদিসে বর্ণিত আমল ও দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করা।

হাদিসে বর্ণিত আমলেই পুরণ হবে মানুষের সব প্রয়োজন ও চাওয়া-পওয়া। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের প্রয়োজন পূরণে উত্তম আমল ও দোয়া শিখিয়েছেন।

তা হলো- হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আবি আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে অথবা কোনো আদম সন্তানের কাছে যে ব্যক্তির কোনো প্রয়োজন থাকে; সে যেন-

 প্রথমে উত্তমরূপে ওজু করে;

তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে;

তারপর আল্লাহ তাআলার তাসবিহ বা প্রশংসা করে এবং

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করে।

তারপর এ দোয়া পাঠ করে-

ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣُﻮﺟِﺒَﺎﺕِ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﻋَﺰَﺍﺋِﻢَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺗِﻚَ ﻭَﺍﻟْﻐَﻨِﻴﻤَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺑِﺮٍّ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼَﻣَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺇِﺛْﻢٍ ﻻَ ﺗَﺪَﻉْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒًﺎ ﺇِﻻَّ ﻏَﻔَﺮْﺗَﻪُ ﻭَﻻَ ﻫَﻤًّﺎ ﺇِﻻَّ ﻓَﺮَّﺟْﺘَﻪُ ﻭَﻻَ ﺣَﺎﺟَﺔً ﻫِﻲَ ﻟَﻚَ ﺭِﺿًﺎ ﺇِﻻَّ ﻗَﻀَﻴْﺘَﻬَﺎ ﻳَﺎ ﺃَﺭْﺣَﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤِﻴﻦَ

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুঝিবাতি রাহমাতিকা ও আযায়িমা মাগফিরাতিকা ওল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররি ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদা’ লি জাম্বান ইল্লা গাফারাতহু ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাঝতাহু ওয়া লা হাঝাতান হিয়া লাকা রিদান ইল্লা ক্বাদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তাআলা খুবই পবিত্র। সব প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার কাছে তোমার রহমত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভালো কাজের ঐশ্বর্য এবং সব খারাপ কাজ থেকে নিরাপত্তা চাইছি।

হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা করো, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, যে কোনো প্রয়োজন পূরণে নবিজীর শেখানো পদ্ধতিতে আমল ও দোয়া করা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যে দোয়ায় জীবনের সব প্রয়োজন পূরণ হয়

আপডেট সময় : ০২:১৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।

কারো কাছে কোনো প্রয়োজন থাকলে তা পূরণে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন হয় তবে ওই ব্যক্তির উচিত হাদিসে বর্ণিত আমল ও দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করা।

হাদিসে বর্ণিত আমলেই পুরণ হবে মানুষের সব প্রয়োজন ও চাওয়া-পওয়া। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের প্রয়োজন পূরণে উত্তম আমল ও দোয়া শিখিয়েছেন।

তা হলো- হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আবি আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে অথবা কোনো আদম সন্তানের কাছে যে ব্যক্তির কোনো প্রয়োজন থাকে; সে যেন-

 প্রথমে উত্তমরূপে ওজু করে;

তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে;

তারপর আল্লাহ তাআলার তাসবিহ বা প্রশংসা করে এবং

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করে।

তারপর এ দোয়া পাঠ করে-

ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣُﻮﺟِﺒَﺎﺕِ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﻋَﺰَﺍﺋِﻢَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺗِﻚَ ﻭَﺍﻟْﻐَﻨِﻴﻤَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺑِﺮٍّ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼَﻣَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺇِﺛْﻢٍ ﻻَ ﺗَﺪَﻉْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒًﺎ ﺇِﻻَّ ﻏَﻔَﺮْﺗَﻪُ ﻭَﻻَ ﻫَﻤًّﺎ ﺇِﻻَّ ﻓَﺮَّﺟْﺘَﻪُ ﻭَﻻَ ﺣَﺎﺟَﺔً ﻫِﻲَ ﻟَﻚَ ﺭِﺿًﺎ ﺇِﻻَّ ﻗَﻀَﻴْﺘَﻬَﺎ ﻳَﺎ ﺃَﺭْﺣَﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤِﻴﻦَ

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুঝিবাতি রাহমাতিকা ও আযায়িমা মাগফিরাতিকা ওল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররি ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদা’ লি জাম্বান ইল্লা গাফারাতহু ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাঝতাহু ওয়া লা হাঝাতান হিয়া লাকা রিদান ইল্লা ক্বাদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তাআলা খুবই পবিত্র। সব প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার কাছে তোমার রহমত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভালো কাজের ঐশ্বর্য এবং সব খারাপ কাজ থেকে নিরাপত্তা চাইছি।

হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা করো, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, যে কোনো প্রয়োজন পূরণে নবিজীর শেখানো পদ্ধতিতে আমল ও দোয়া করা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা।