ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশে হিন্দু সম্প্রদায়ের যোগদান দুই কিশোরকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন নিক্সন চৌধুরীর ক্যাশিয়ার ও আ.লীগ নেতা রমজান শিকদার ধরাছোয়ার বাইরে পাট অধিদপ্তর উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহমেদের বাবা কে? বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন ভাঙ্গায় বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন ময়মনসিংহের সংরক্ষিত কাউন্সিলর রোকসানা পারভীন কাজলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বৈশ্বিক হরতালের সমর্থনে ফরিদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে বিনামূল্যে ধানবীজ, পাটবীজ ও সার বিতরণ ফরিদপুরের সালথায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ছে, শিল্পের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে

সম্পাদকীয়
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই গার্মেন্টস বা তৈরি পোশাকশিল্প এগিয়ে চলেছে। আন্তর্জাতিকভাবে কিংবা কোনো কোনো দেশের পক্ষ থেকে কখনো কখনো সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কখনো কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কখনো বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও এই শিল্প খাতটির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

 

প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিমূল্য ০.৭৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩৪ কোটি ডলার। এ ছাড়া রপ্তানির পরিমাণও বেড়েছে ৪.৮৬ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির সর্বশেষ তথ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর পণ্য রপ্তানির মূল্য ও পরিমাণের এই চিত্র উঠে আসে। অন্যান্য প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তুলনায় তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল মাঝামাঝি। ভিয়েতনামের মূল্য ৫.৬৭ শতাংশ এবং পরিমাণে ৯.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

অন্যদিকে ভারতের মূল্য ৪.৯৫ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৩.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১৪.৪৮ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৮.৪৫ শতাংশ বেড়েছে, যা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রবণতা তুলে ধরে। অন্যদিকে মেক্সিকো ও কোরিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তাদের পণ্যের মূল্য ও পরিমাণ দুটোই কমেছে। তৈরি পোশাকশিল্প এখনো বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত।

 

প্রতিবছর বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ আসে এই খাতটি থেকেই। তাই এই খাতটিকে আরো এগিয়ে নেওয়ার দিকে আমাদের আরো বেশি তৎপর হতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এই শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটছে। প্রায়শ বিক্ষোভ, হামলা-ভাঙচুরের হচ্ছে। শিল্পের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, গ্যাস ও জ্বালানির অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ঋণের ওপর অত্যধিক সুদের কারণে চলতি মূলধনে ঘাটতি হচ্ছে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান বাজারগুলোতে অবস্থান সুসংহত করার পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো অনেক বেশি সক্রিয়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, অনেক দেশই বাংলাদেশের বাজার দখলে উঠেপড়ে লেগেছে।

 

আমরা আশা করি, সরকার তৈরি পোশাকশিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে গার্মেন্টকর্মীদের অবস্থার উন্নয়নেও পদক্ষেপ নিতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ছে, শিল্পের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে

আপডেট সময় : ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই গার্মেন্টস বা তৈরি পোশাকশিল্প এগিয়ে চলেছে। আন্তর্জাতিকভাবে কিংবা কোনো কোনো দেশের পক্ষ থেকে কখনো কখনো সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কখনো কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কখনো বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও এই শিল্প খাতটির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

 

প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিমূল্য ০.৭৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩৪ কোটি ডলার। এ ছাড়া রপ্তানির পরিমাণও বেড়েছে ৪.৮৬ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির সর্বশেষ তথ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর পণ্য রপ্তানির মূল্য ও পরিমাণের এই চিত্র উঠে আসে। অন্যান্য প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তুলনায় তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল মাঝামাঝি। ভিয়েতনামের মূল্য ৫.৬৭ শতাংশ এবং পরিমাণে ৯.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

অন্যদিকে ভারতের মূল্য ৪.৯৫ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৩.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১৪.৪৮ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৮.৪৫ শতাংশ বেড়েছে, যা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রবণতা তুলে ধরে। অন্যদিকে মেক্সিকো ও কোরিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তাদের পণ্যের মূল্য ও পরিমাণ দুটোই কমেছে। তৈরি পোশাকশিল্প এখনো বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত।

 

প্রতিবছর বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ আসে এই খাতটি থেকেই। তাই এই খাতটিকে আরো এগিয়ে নেওয়ার দিকে আমাদের আরো বেশি তৎপর হতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এই শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটছে। প্রায়শ বিক্ষোভ, হামলা-ভাঙচুরের হচ্ছে। শিল্পের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, গ্যাস ও জ্বালানির অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ঋণের ওপর অত্যধিক সুদের কারণে চলতি মূলধনে ঘাটতি হচ্ছে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান বাজারগুলোতে অবস্থান সুসংহত করার পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো অনেক বেশি সক্রিয়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, অনেক দেশই বাংলাদেশের বাজার দখলে উঠেপড়ে লেগেছে।

 

আমরা আশা করি, সরকার তৈরি পোশাকশিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে গার্মেন্টকর্মীদের অবস্থার উন্নয়নেও পদক্ষেপ নিতে হবে।